দেশ ও জাতিকে আত্মনির্ভরশীল করতে সমাজের প্রান্তিক ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে আত্মনির্ভরশীল করার জন্য সমাজের বিত্তবান, সক্ষম ও হৃদয়বান মানুষকে খোলা মনে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
তিনি আজ রাজধানীর একটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের উত্তরা মডেল থানার উদ্দোগে দুস্থ অসহায়, প্রান্তিক জনগষ্ঠির মধ্যে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যে সেলাইমেশিন বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। থানা আমীর এ্যাডভোকেট ইব্রাহীম খলিলের সভাপতিত্বে ও থানা সেক্রেটারী বদিউজ্জামাল বকুলের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অফিস সেক্রেটারী উসমান গনি জুয়েল, আব্দুল আজিজ সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
ড. রেজাউল করিম বলেন, রাজপথে সভা-সমাবেশ করা প্রতিটি নাগরিকের সাংবিধানিক ও মৌলিক অধিকার হলেও সরকার পরিকল্পিতভাবে বিগত প্রায় ১৫ বছর ধরে এই বাকশালী সরকার জামায়াতকে রাজপথে কোন রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে দেয়নি। সে ধারাবাহিকতায় আজ ৫ জুন জাতীয় মসজিদের উত্তর গেইটে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াত শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনের অনুমতি চাইলেও না দিয়ে সরকার তাদের কদর্য চেহারা জাতির সামনে নতুন করে উম্মুক্ত করেছে। এতে আবারো প্রমাণিত হয়েছে বর্তমান সরকার গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং আইনের শাসনে বিশ্বাসী নয়। তিনি সরকারের এমন ন্যাক্কারজনক আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং অবিলম্বে রাজপথ জনগণের জন্য উম্মুক্ত করে দিতে জোর দাবি করেন। অন্যথায় সকল বাধা-প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করেই জনগণ রাজপথের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করবে।
তিনি বলেন, গণমানুষের কল্যাণই ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা। আর ইসলামের সে আদর্শ অনুসরণেই জামায়াত একটি গণমুখী, কল্যাণকামী, আদর্শিক ও সাংবিধানিক রাজনৈতিক সংগঠন হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই জামায়াতে ইসলামী গণমানুষের মুক্তি, সমাজ উন্নয়ন ও আর্তমানবতার কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। জাতির যেকোন ক্রান্তিকালে ও দুর্যোগকালীন মহুর্তে জামায়াত জনগণের পাশে থেকে তাদের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সে ধারাবাহিকতায় আজ আমরা আমাদের সীমিত সামর্থ নিয়ে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে আত্মনির্ভর করার চেষ্টার অংশ হিসাবে সেলাই মেশিন বিতরণ করছি।
মূলত, জামায়াতে ইসলামী কুরআনের সুন্নাহের আদর্শের ভিত্তিতে দেশকে ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। আর দেশকে কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে পারলেই রাষ্ট্রই নাগরিকের সকল সমস্যার সমাধান করবে। তিনি সেই স্বপ্নের সমাজ বিনির্মাণে দলমত নির্বিশেষে সকলকে ময়দানে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা পালনের আহবান জানান।