বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেছেন, যারা ছাত্রজীবনের সূচনাতেই জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ তথা ইসলামী আন্দোলনের দাওয়াত পেয়েছিলেন, তারা নিঃসন্দেহে সৌভাগ্যবান। অনেক সময় আমাদের অভিভাবকরাও যে কাজটি করতে পারেন নাই, সে কাজটি ইসলামী ছাত্রশিবির করতে পেরেছে, আলহামদুলিল্লাহ। সাধারণত অভিভাবকেরা ছেলে-মেয়েকে স্কুল-কলেজ-ইউনিভার্সিটিতে পাঠিয়ে জিজ্ঞেস করেন না যে, তারা কোরআন পড়তে পারে কিনা, হাদিস পড়তে পারে কিনা। কিন্তু ছাত্রশিবির সে কাজটি করে আমাদেরকে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। যুব সমাজকে দেশের বর্তমান ক্রান্তিকালে নিজেকে সৎ এবং যোগ্যরূপে গড়ে তোলে সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মাণে এগিয়ে আসতে হবে। তৃণমূল পর্যায়ে নিজেদেরকে জনগণের নিকট উপস্থাপন করতে হবে। তৃণমূল পর্যায়ে ইসলামের আদর্শ সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পারলে তাহলে ইসলামের বিজয় সম্ভব হবে, ইনশাআল্লাহ।
তিনি আজ রাজধানীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের উত্তরা মডেল থানা কর্তৃক আয়োজিত ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক ভাইদের নিয়ে এক প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগরী উত্তরের মজলিসে শুরা সদস্য ও থানা আমীর জনাব মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ নাঈমের সভাপতিত্বে ও থানা সেক্রেটারি হারুন অর রশিদ তারেকের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন থানা নায়েবে আমীর একেএম মনিরুজ্জামান, থানা কর্মপরিষদ সদস্য বদিউজ্জামান বকুল, ওসমান গনি ও মোঃ জুয়েল প্রমূখ।
সেলিম উদ্দিন বলেন, বিগত ৫০ বছরে সৎ এবং যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে দেশ ক্রমান্বয়ে ব্যর্থ রাষ্ট্রের পরিণতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ব্যর্থ রাষ্ট্র থেকে পরিত্রাণের জন্য আদর্শিক এবং যোগ্য নেতৃত্ব তৈরি করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। একমাত্র ইসলামী আদর্শের ভিত্তিতেই সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব তৈরি করা সম্ভব। ইসলামী আদর্শ ছাড়া সৎ এবং যোগ্য নেতৃত্ব তৈরির আর কোন আদর্শ নেই। ইসলামের এই কালজয়ী আদর্শকে সামনে রেখে সৎ এবং যোগ্য নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় ছাত্রশিবিরের বিদায়ী ও সাবেকদেরকে এগিয়ে আসতে হবে এবং একযোগে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পতাকাতলে শামিল হয়ে আগামীর সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখতে হবে।