দলমত, ধর্ম, বর্ণ ও গোত্র নির্বিশেষে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত ও শীতার্ত মানুষের কল্যাণে কাজ করতে সরকার সহ সমাজের সকল শ্রেণি ও পেশার সক্ষম মানুষকে সেবার মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন সাপ্তাহিক সোনার বাংলার সহকারি সম্পাদক ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
তিনি আজ রাজধানীর একটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ যুবকল্যাণ পরিষদ ঢাকা মহানগরী উত্তরের গুলশান পূর্ব থানা আয়োজিত ভিন্ন ধর্মাবলম্বী ও গারো সম্প্রদায়ের অসহায় ও শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র উপহার প্রধান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। যুবকল্যাণ পরিষদের গুলশান জোনের পরিচালক আবু জুনায়েদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জোনের সহকারি পরিচালক ফাহিম আব্দুল্লাহ, গুলশান পূর্ব থানা যুব কল্যাণ পরিষদের উপদেষ্টা ফারুক সাদিক, আবু দোহা জয় ও মিনহাজুল আবেদিন প্রমূখ।
ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, দলমত, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষ আমরা প্রত্যেকেই বাংলাদেশী। আমাদের দেশের সংবিধানে সকল ধর্মাবলম্বীকে নির্বিঘেœ ও স্বাধীনভাবে ধর্ম পালনের অধিকারের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্বের অদ্বিতীয় রোল মডেল। তাই ধর্মের ভিত্তিতে মানুষের মধ্যে বিভাজন করার কোন সুযোগ নেই বরং আমরা সকলকেই স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের গর্বিত নাগরিক। যুবকল্যাণ পরিষদও একটি অসাম্প্রদায়িক, গণমুখী ও কল্যাণকামী সংগঠন। সে কল্যাণকামীতার অংশ হিসাবে আজ আমরা ভিন্ন ধর্মাবলম্বী প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ও শীতার্ত মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করছি। এতে ন্যুনতম কেউ উপকৃত হলে আমাদের শ্রম স্বার্থ হয়েছে বলে মনে করবো। তিনি দেশাত্ববোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং হারানো গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে ধর্মীয় ভেদাভেদ ভুলে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।
তিনি বলেন, অসহায় ও দুর্গত মানুষের পাশে দাড়ানো সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর পক্ষ থেকে অর্পিত দায়িত্ব। যুবকল্যাণ পরিষদ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই দল-মত-জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে মানুষের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ধর্মের নামে আমরা মানুষের মধ্যে কোন ভেদাভেদ সৃষ্টি করি না। মূলত, স্বাধীনতা উত্তর সময় থেকেই আমরা সকল ধর্মের মানুষ একসাথে এই দেশে বসবাস করছি। এই দেশ আমার, আপনার, আমাদের সকলের। শত প্রতিকূলতা ও সীমিত সামর্থ্য সত্তে¡ও মানবতার কল্যাণেই আমাদের সকল প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে, ইনশাআল্লাহ। তিনি আর্ত-মানবতার কল্যাণে যুবসমাজকে যুব কল্যাণের পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জনান।
উল্লেখ্য, গুলশান পূর্ব যুব কল্যাণ পরিষদ ভিন্ন ধর্মাবলম্বী ছাড়াও গুলশান লেকপাড়ের সুবিধাবঞ্চিত প্রায় ১৫০ মানুষের মাঝে এলাকায় শীতের কম্বল বিতরণ করেন।